Wednesday, 24 June 2015

জোর করে পুরষাঙ্গ কেটে হিজড়া বানানো হয়.

প্রকৃতিগতভাবে নারী আর পুরুষের বাইরেও রয়েছে আরও ভিন্ন ভিন্ন নানান লৈঙ্গিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন মানুষ। হিজড়া তাদের অন্যতম। এরা সাধারণত নেচে গেয়ে অর্থ উপার্জন করে। তাদের উপার্জনের টাকা দিয়ে কারো কারো আয়েশি জীবনযাপন করলেও সাধারণ হিজড়াদের দিন কাটে অভাব অনটনে।তবে ইদানিং স্বাভাবিক হিজড়াদের মধ্যে কিছু অস্বাভাবিক আচরণের হিজড়াদের আগমণ ঘটেছে। এই সব অস্বাভাবিক আচরণের হিজড়ারা প্রাকৃতিকভাবে পুরুষ। তবে পুরুষ হওয়ার পরও তারা হিজড়ার চরিত্রে অভিনয় করছে।
যেসব ছেলেদের মধ্যে একটু মেয়েলিপনা দেখা যায়, তাদের পুরুষাঙ্গ জোর করে কেটে হিজড়া বানানো হচ্ছে। ছেলেদের পুরুষাঙ্গ কেটে হিজড়া বানিয়ে এদের দ্বারা নানান অপরাধমূলক কাজ করিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। একুশে টেলিভিশনের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
রুবিনা ইয়াসমিনের ওই প্রতিবেদনে আরও দেখানো হয়, রাজধানীতে ভিন্ন ধরনের ছেলেধরার সন্ধান মিলেছে। যেসব ছেলেদের মধ্যে একটু মেয়েলিপনা আছে, তাদেরকে ধরে জোর করে পুরুষাঙ্গ কেটে হিজড়া বানানোর অভিযোগ উঠেছে ওই ছেলেধরা চক্রের বিরুদ্ধে। এমনই একজন ভুক্তভোগী সুমন। একুশে টেলিভিশনকে তিনি বলেন, ‘আমার নাম ছিল সুমন। এখন নাম হচ্ছে ঝুমা। আমি একসময় ছেলে ছিলাম। এখন আমাকে জোর করে হিজড়া বানানো হয়েছে’।
পুরো রাজধানী জুড়েই এরকম হাজার খানেক ছেলেকে হিজড়া বানিয়ে ব্যবসায় নামিয়েছে একটা চক্র। 
এই চক্রের অন্যতম খায়রুল ইসলাম ওরফে স্বপ্না হিজড়া। যিনি নিজেও ছিলেন ছেলে। অথচ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন হিজড়া সেজে। আরেক ভুক্তভোগী বললেন, তার গুরু (খায়রুল ওরফে স্বপ্না) ছেলে মানুষ। ওনার বউ আছে। দুটি জমজ বাচ্চা আছে বলেও জানায় তারা। বিভিন্ন জায়গায় তার বাড়ি ও প্লট আছে বলে জানা যায়। কিন্তু হিজড়া সেজে তার এ বিশাল সাম্রাজ্য যারা গড়ে দিয়েছে তারাও সবাই ছেলে। অন্য আরেক হিজড়া বললেন, ‘এলাকার জায়গা অর্ধেকটা কিনে ফেলেছেন। আর আমরা গরিব মানুষ , না খেয়ে মরতেছি’। 
প্রতিবেদনে দেখানো এমন আরেকজন রোমানা। একসময় স্ত্রী সন্তাান সবই ছিল। কিন্তু স্বপ্না তাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে হিজড়া বানানোর ফাঁদ এঁটেছে। কথামত রোমানা তার পুরুষাঙ্গ কাটার জন্য ঢাকা থেকে নওগাঁ যাবে। একুশে টিভির টিম তার সাথে রওনা হয়। নওগাঁ বাসস্ট্যান্ডে স্বপ্নার ভাড়া করা দালাল শরিফ রোমানাদের সোজা নিয়ে যায় হাসপাতালে। একুশের টিম তাদেরকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। ডাক্তার খবর পেয়ে পালিয়ে যায়। অ্যাসিস্ট্যান্ট স্বীকার করেন যে, ২ হাজার টাকার বিনিময়ে সে এ কাজ করে থাকে। প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হলে তারা নাকের ডগায় এমন অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে জানতে পেরে হতভম্ব হয়ে পড়েন।

No comments:

Post a Comment